শিলিগুড়ি: পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাল্লাগুড়ি সংলগ্ন টি অকশন রোডে কার্যত তৈরি হয়েছে শিলিগুড়ি শহরের দ্বিতীয় ডাম্পিং গ্রাউন্ড। পরিস্থিতি এমন যে, এলাকাবাসীদের মতে এই রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ আবর্জনার পাহাড় দেখে একে ডাম্পিং গ্রাউন্ড ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না।
এই রাস্তাতেই রয়েছে বিজেপির প্রধান কার্যালয়। প্রতিদিন বড় বড় নেতাদের যাতায়াত থাকা সত্ত্বেও পথে নোংরার পাহাড়, দুর্গন্ধ ও বেহাল অবস্থা—সবই থেকে যাচ্ছে অপরিবর্তিত। রাস্তার এক পাশে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা আবর্জনা ডাম্প করে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ—পুরনিগমের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয় না। সমস্যা জানাতে জানাতে বছর কেটে যাচ্ছে।
এলাকার কাউন্সিলর দিলীপ বর্মনের সঙ্গে পুরনিগমের দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরে এলাকায় উন্নয়ন কার্যত বন্ধ হয়ে আছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। রাজনৈতিক অশান্তির চাপ সরাসরি এসে পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর।
“নদী থেকে নালা, নালা থেকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড” — ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন স্থানীয়রা।স্থানীয় বাসিন্দা মান্না ভদ্র বলেন,
“এই অবস্থা এক দিনের নয়—বহু বছরের। কাউন্সিলরকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। একটা সময় এটা নদী ছিল, পরে নালা হয়েছে, আর এখন পুরো ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে। পুজোর আগে মেয়র এসেছিলেন ঠিকই, কিন্তু দেখে চলে যাওয়া ছাড়া কিছুই করেননি।”
নোংরার পাশাপাশি রয়েছে পানীয় জলেরও সংকটও এলাকাবাসী প্রীতম শা, সমীর শিকারী ও বলরাম দাস জানান,
“এখানে শুধু নোংরার সমস্যাই নয়, পানীয় জলের চরম সংকটও রয়েছে।
বহুবার জানানো হয়েছে, কিন্তু প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না।”
“সমস্যা না মিটলে আগামী ২৬এর ভোট বয়কট” — সতর্কতা বাসিন্দাদের
ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা স্পষ্ট জানিয়েছেন—“যদি দ্রুত সমস্যার সমাধান না করা হয়, তাহলে আমরা ২৬ শের ভোট বয়কট করব।”
মাল্লাগুড়ির টি অকশন রোডের এই পরিস্থিতি শুধু একটি ওয়ার্ডের সংকট নয়, বরং শহরের পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং প্রশাসনিক অদক্ষতার
ওপর বড় প্রশ্ন তুলে দিল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এমন নোংরা ও অব্যবস্থাপনা—শিলিগুড়ির উন্নয়ন চিত্রকে গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এ বিষয়ে মেয়র গৌতম দেব ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর দিকেই আঙুল তুলেন, বললেন সেই বিষয়টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেখবেন কারণ কনজারভেন্সি কাজগুলো বোরো থেকে কাউন্সিলর এর মাধ্যমে হয়।