
কোচবিহার, ২৩ জুলাই: শহরের আরআরএন রোডের একটি হোটেলে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। মৃতের নাম বাপ্পা আলি, বাড়ি কোচবিহারের সিতাই থানার বড় নাটাবাড়ী এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে হোটেলের একটি ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
হোটেলের অন্যান্য আবাসিকদের নজরে প্রথম আসে ওই ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় কোচবিহার কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
লটারি জেতা, সম্পর্ক ও সন্দেহজনক মৃত্যু
পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, কিছুদিন আগে লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন বাপ্পা আলি। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে এলাকার এক মহিলার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, যা ঘিরে দাম্পত্য ও পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়।
পরিবারের অভিযোগ, “গত দু’দিন ধরে সে বাড়ি ফেরেনি। আজ সকালে পুলিশ ফোন করে মৃত্যুর খবর দেয়। হোটেলে গিয়ে দেখি, বাপ্পা চেয়ারে বসে, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। দেখে মনে হয় না ও নিজে থেকে আত্মহত্যা করেছে।”
তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, হোটেল কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে চাইছে না। “তাহলে কী লুকোচ্ছে হোটেল? আমরা দেহ নেব না, যতক্ষণ না সিসিটিভি দেখা যাচ্ছে,”— দাবি পরিবারের।
তাঁদের আশঙ্কা, টাকার লোভে বাপ্পাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ হয়তো প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ।
পুলিশি তদন্ত চলছে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে করা হলেও, সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মানসিক অবসাদ, আর্থিক চাপ অথবা সম্পর্কঘটিত কোনো জটিলতা—সবদিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তের স্বার্থে হোটেলের রেজিস্টার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও জব্দ করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ, এবং হোটেলকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।
ঘটনার গুরুত্ব:
- লটারি জয়ের পরে মৃত্যু, যা তদন্তকে জটিল করে তুলেছে
- একজন মহিলার সম্পৃক্ততার অভিযোগ, যা সন্দেহ বাড়াচ্ছে
- পরিবারের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ দাবি ও দেহ গ্রহণে অস্বীকৃতি