সিকিম : শারদোৎসবের আগে ফের বিপাকে উত্তরবঙ্গ। শুক্রবার গভীর রাতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বিশাল ধস নামায় অচল হয়ে গেল সিকিমমুখী প্রধান সড়ক। সেবক বাগ পুল ও কালিঝোড়ার মাঝামাঝি পাহাড়ি ঢাল থেকে একের পর এক পাথর গড়িয়ে পড়ায় মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল। এর জেরে রাত থেকেই আটকে পড়েন শতাধিক পর্যটক ও সাধারণ যাত্রী।
হঠাৎ ধস নামায় যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে মাঝরাস্তায়। অন্ধকারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। একাধিক পর্যটক গাড়ি ফেলে হেঁটে শিলিগুড়ির দিকে রওনা দেন। তাঁদের বক্তব্য, ধস নামার শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে মনে হচ্ছিল পাহাড় ভেঙে পড়ছে।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কর্মীদের ঘটনাস্থলে পাঠায়। শনিবার সকাল থেকে ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু মাটি ও পাথরের পরিমাণ এতটাই বেশি যে কখন রাস্তা সচল হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ মুহূর্তে পুরো রাস্তাই গাড়ি চলাচলের অযোগ্য।
শিলিগুড়ি প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ধস সরানো পর্যন্ত সিকিমমুখী যানবাহনের জন্য বিকল্প রাস্তা খোঁজা হচ্ছে। পর্যটক ও সাধারণ মানুষকে অকারণে ধসপ্রবণ এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পুজোর আগে এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা বাড়ছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। সিকিম ও দার্জিলিংমুখী প্রায় সব হোটেল, হোমস্টে ইতিমধ্যেই বুকিং পেয়েছিল। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় বহু পর্যটক ভ্রমণ বাতিল করতে পারেন বলে আশঙ্কা। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এই ধস চলতি মরসুমে পর্যটন শিল্পকে বড় ধাক্কা দিতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় প্রতি বর্ষাতেই কালিঝোড়া, সেবক ও বাগপুল এলাকায় ধস নামায় দিনের পর দিন বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়ক। অথচ স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ দেখা যায় না। ফলে প্রতিবছর একই দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয় সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের।