শিলিগুড়ি, ৯ অক্টোবর : সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির জেরে সমতল, পাহাড় ও ডুয়ার্স অঞ্চলের জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে এমন প্রতিকূল অবস্থাতেও NBSTC মানুষের পাশে থেকে পরিষেবা সচল রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির তেনজিং নরগে বাস টার্মিনাসে এক সাংবাদিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্র পরিবহন সংস্থা (NBSTC)-র চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় জানান, পূর্বে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতাগামী মাত্র তিনটি বাস চললেও, বর্তমানে পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কোনোদিন ৯টি, কোনোদিন ১৫টি পর্যন্ত বাস চালানো হয়েছে, এমনকি চাকরিজীবী যাত্রীদের জন্য স্পেশাল বাসও চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৮০০ যাত্রী—যাদের অধিকাংশই পর্যটক—তাদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাহাড়মুখী বাস পরিষেবার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে NBSTC-কে। দার্জিলিং, কালিম্পং, গ্যাংটক ও মিরিকগামী প্রতিদিনের ২৫টি বাস পরিষেবা বন্যার কারণে ব্যাহত হয়েছে। ৫ অক্টোবর মাত্র একটি বাস চালানো সম্ভব হয়েছিল, ৬ অক্টোবর ৬টি এবং ৭ অক্টোবর ৮টি বাস চালানো যায়। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে- ৯ অক্টোবর, মোট ১৫টি পাহাড়মুখী বাস চলাচল করবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
তিনি আরও জানান, মিরিকের রাস্তাঘাট এখনো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক নয়। সেখানে লোহার সেতুটি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে আপাতত মিরিকগামী বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করে বলেন, “যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। সরকারি নির্ধারিত ন্যায্য ভাড়াতেই যাত্রা সম্ভব হচ্ছে। প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে বিনামূল্যে পরিষেবাও দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়া তিনি জানান, এই সময় বিমানের ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। বাগডোগরা থেকে কলকাতাগামী বিমানের ভাড়া ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছে, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। রেলেও প্রিমিয়াম ও তৎকাল টিকিটের অতিরিক্ত খরচ মানুষকে বিপাকে ফেলেছে। সেই পরিস্থিতিতে NBSTC-র সুলভ ও নির্ভরযোগ্য পরিষেবা এখন অনেক যাত্রীর ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে।