
শিলিগুড়ি, ১৯ জুলাই: চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনে। ‘চাকরির’ নাম করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৫৬ জন যুবতীকে। শেষ মুহূর্তে তৎপরতা দেখিয়ে তাঁদের উদ্ধার করল জিআরপি ও আরপিএফ।
সোমবার রাত প্রায় ৯টা নাগাদ এনজেপি স্টেশন থেকে পাটনাগামী ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে ওই ৫৬ জন যুবতীকে উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যুবতীদের দাবি, তাদের ও পরিবারের সদস্যদের বলা হয়েছিল, ব্যাঙ্গালোরের ‘বেসরকারি কোম্পানিতে’ চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তাদের তোলা হয় বিহারের পাটনাগামী ট্রেনে।
আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে—এই যুবতীদের কাছে কোনো বৈধ ট্রেন টিকিট ছিল না। প্রত্যেকের হাতে ছিল ‘মারা দেওয়া’ কোচ ও বার্থ নম্বর। জিআরপি ও আরপিএফের সন্দেহ দানা বাঁধে।
🚨 মূল অভিযুক্ত
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কলকাতার বাসিন্দা জিতেন্দ্র পাশওয়ান এবং শিলিগুড়ির এক মহিলা চন্দ্রিকা-কে জিআরপি ও আরপিএফ আটক করে। জেরা চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তারা কোনও কাজের অফার লেটার বা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
🏠 পরিবারের হাতে হস্তান্তর
তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ প্রত্যেক যুবতীর পরিবারকে খবর পাঠায়। সোমবার রাতেই স্টেশনে এসে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৫৬ জন যুবতীকে।
🔍 তদন্ত জোরকদমে
এই ঘটনার পেছনে চাকরির টোপে মানব পাচার চক্রের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না জিআরপি ও আরপিএফ। ইতিমধ্যে দুই অভিযুক্তকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তে জড়িয়েছেন জিআরপি ও আরপিএফ-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।