
শাহের মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে তথ্য চাইল তিন পুলিশকর্তার বিষয়ে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপরে ‘হামলা’র অভিযোগ নিয়ে সক্রিয় হল লোকসভার সচিবালয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জবাব তলব করতে বলা হল লোকসভার তরফে।
এক আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে গত ১৯ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানে প্রথমে তাঁর কনভয় বাধা পায়। তিনি রাস্তায় নামার পরে তাঁর দিকে ইট-পাটকেল এবং জুতোও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ভিডিয়ো ফুটেজ-সহ গোটা ঘটনার বিবরণ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে পাঠিয়েছিলেন সুকান্ত। ‘স্বাধিকারভঙ্গ’ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই বুধবার অমিত শাহের মন্ত্রককে চিঠি দিল লোকসভার সচিবালয়। ওই চিঠিতে ১৫ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ‘প্রকৃত ঘটনা’ (ফ্যাকচুয়াল নোট) জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে লোকসভার তরফে। এবং সেই নোট তৈরি করতে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে জবাব তলব করে। শাহের মন্ত্রক রিপোর্ট দিলেই তা লোকসভার স্পিকারের কাছে পেশ করবে লোকসভার সচিবালয়।
১৯ জুন সুকান্তর বজবজ যাওয়া ঘিরে যা ঘটেছিল, তাতে তিন পুলিশকর্তার ভূমিকা সম্পর্কে নির্দিষ্ট ভাবে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এবং স্থানীয় এসডিপিও। সুকান্ত ২০ জুন যে চিঠি লোকসভার স্পিকারকে লিখেছিলেন, তাতে এই তিন জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ছিল। সুকান্ত লিখেছিলেন, ‘তৃণমূল আশ্রিত’ দুষ্কৃতীরা তাঁর কনভয় ঘেরাও করে, হিংসাত্মক হামলা চালায়, ইটপাটকেল ছোড়ে, গাড়ি ভাঙচুর করে এবং তাঁর সঙ্গীদের অনেকে তাতে জখম হন। পুলিশ সুপার রাহুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কোনও ‘প্রতিরোধমূলক’ পদক্ষেপ করেননি বলে সুকান্ত অভিযোগ করেন। পাশাপাশিই তিনি অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং এসডিপিও ঘটনাস্থলেই ছিলেন না! এ বার লোকসভার সচিবালয় সুনির্দিষ্ট ভাবে সেই পুলিশকর্তাদের ভূমিকা সম্পর্কেই রিপোর্ট চাইল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠানো লোকসভার সচিবালয়ের ওই চিঠির প্রতিলিপি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও পাঠানো হয়েছে।