
হুগলি জেলার গোঘাট থানার অন্তর্গত আরামবাগ–বদনগঞ্জ রোডে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে কামারপুকুর-বদনগঞ্জ রোডের ধরমপুর এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, সন্ধ্যা প্রায় ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ আরামবাগ থেকে বদনগঞ্জগামী একটি যাত্রীবোঝাই বাস (নাম: মা সিদ্ধেশ্বরী, বাস নম্বর: ২১) বদনগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোরাম বোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির।
দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের সামনের ডান দিক চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের বিকট শব্দ শুনে স্থানীয় মানুষজন ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করেন এবং দ্রুত কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় ৫৫–৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, নাম তপন দে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিষ্ণুদাসপুর এলাকার বাসিন্দা, ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। এদের মধ্যে আটজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কামারপুকুর থেকে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এক শিশুর পা মারাত্মকভাবে ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে অধিকাংশের পায়ে আঘাত রয়েছে। শ্যামবাজার অঞ্চলের বেলডিহা গ্রামের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনার পর গোঘাট থানার পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দুর্ঘটনার পর থেকেই বাসের চালকের কোনো খোঁজ মেলেনি। তিনি আহত অবস্থায় কোথাও চিকিৎসাধীন, না কি দুর্ঘটনার আগে লাফিয়ে পড়েছিলেন—তা এখনও জানা যায়নি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।