
শান্তিপুর, ৮ জুলাই — ‘ফুল চুরির’ অপবাদে গৃহবধূকে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছিল। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হন সরস্বতী দে নামে এক মহিলা। ঘটনার মূল অভিযুক্ত কাজল করাতিকে সোমবার রাতে শান্তিপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁর স্বামী অসীম করাতিকে। অভিযুক্তদের দেওর, শান্তিপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার মিলন করাতিকে ইতিমধ্যে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে, তবে তিনি এখনও পলাতক।
ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার হরিপুর অঞ্চলের নৃসিংহপুর এলাকায়। অভিযোগ, শুক্রবার ভোরে সরস্বতী দে প্রতিবেশী করাতি পরিবারের গাছে থাকা ফুল তুলছিলেন। সেই সময় কাজল করাতি এবং তাঁর পরিবারের লোকজন সরস্বতীকে গাছে বেঁধে রাখেন ও সকলের সামনে কান ধরে ওঠবস করান।
পরের দিন, শনিবার ভোরে বাড়ি থেকে সরস্বতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সরস্বতীর মেয়ে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, অপমানের চাপে পড়েই তাঁর মা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে মিলন, তাঁর দাদা অসীম এবং বৌদি কাজল করাতির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করে পুলিশ। যদিও মিলন দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না এবং করাতি পরিবারের কেউ সরাসরি হেনস্থায় জড়িত নন। তবে ঘটনার পরে তিনি ও তাঁর বৌদি গা ঢাকা দেন। শেষপর্যন্ত গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে কাজলকে গ্রেপ্তার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
ঘটনাটি এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। সমাজকর্মীদের একাংশ বলছেন, এ ধরনের সামাজিক লজ্জা ও অপমানে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠা খুবই উদ্বেগজনক। পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে।