
দিনহাটা, কোচবিহার — এক অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে বাংলার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও, কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসীর নামে এনআরসি-নোটিস পাঠিয়েছে অসম সরকার। ফরেনার্স ট্রাইবুনালের এই চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রে আঘাতের অভিযোগ এনেছেন।
উত্তম কুমার ব্রজবাসী, যিনি দিনহাটার সাদিয়াল কুঠিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন, রবিবার অসম ফরেনার্স ট্রাইবুনালের একটি চিঠি হাতে পান। চিঠিতে দাবি করা হয়, তিনি ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে অসম সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং যথাযথ নথিপত্র দেখাতে না পারায় তাঁকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন —
“আমি হতবাক ও বিচলিত। বৈধ পরিচয় থাকা সত্ত্বেও একজন বাংলার নাগরিককে বিদেশি বলা হচ্ছে! এটি গণতন্ত্রে সরাসরি আক্রমণ। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে এনআরসির নামে আতঙ্ক তৈরি করছে।”
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বাংলায় এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার ছক। তাঁর অভিযোগ, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষদের নিশানা করে বিভাজনের রাজনীতি করা হচ্ছে।
উত্তম কুমার নিজে জানান,
“অসম তো দূরের কথা, আমি কোনওদিন কোচবিহারের বাইরেই যাইনি। অথচ আমাকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে!”