
দেশজুড়ে ডাকা আজকের বনধের মূলে ছিল শ্রমিক স্বার্থ, জনজীবনের উন্নতির দাবি। অথচ সেই দাবিকে সামনে রেখেই ইসলামপুরের বিভিন্ন প্রান্তে কিছু বনধ সমর্থকের আচরণ ঘিরে তৈরি হয়েছে চরম বিতর্ক।
যাদের পক্ষে আন্দোলন, তাদেরই ওপর অত্যাচার!
ইসলামপুর শহরের চৌরঙ্গী মোডে দেখা গেছে — একটি ফল বিক্রেতা কে নিজের দোকান তুলে নিতে বলা হয় এমনকিধাক্কাধাক্কিও করা হয় । সাধারণ মানুষ, যারা জীবনের প্রয়োজনে পথে নেমেছেন, তাঁদের দিকেই আঙুল তুলছেন আন্দোলনকারীরা।
যাদের অধিকারের জন্য এই লড়াই, তাঁদের ওপরে এমন রূঢ় আচরণ কতটা যুক্তিসঙ্গত — সেই প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র।
বনধ মানে কি প্রতিবাদ? নাকি রণনীতি ছাড়া দাদাগিরির প্রকাশ?
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, এভাবে জনসাধারণের উপর চড়াও হলে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যই প্রশ্নের মুখে পড়ে। অন্যদিকে বনধ সমর্থকরা দাবি করছেন, “জনতার স্বার্থেই এই কড়া পদক্ষেপ।”
জনগণের স্বার্থে যদি আন্দোলন হয়, তাহলে জনগণকে শত্রু বানিয়ে কেন এই ‘যুদ্ধ’? — এই প্রশ্নে এখন সরগরম শিলিগুড়ি।