
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজা খান: নিজস্ব সংবাদাতা, রাজা খানইসলামপুর বাজারের এক অতি সাধারণ পরিবার।
বাবা রাম কমল দাস একটি ছোট পানের দোকান চালান। মা সোনালী দাস গৃহবধূ। সংসারে স্বপ্নের মতো একমাত্র কন্যা—চার বছরের জয়িতা দাস। দেখতে চঞ্চল, হাসিখুশি, প্রাণবন্ত।
কিন্তু এই প্রাণবন্ততার আড়ালে লুকিয়ে আছে এক নিঃশব্দ যন্ত্রণার গল্প।
জন্ম থেকেই শ্রবণ ক্ষমতা নেই জয়িতার।
দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও যখন কোনো শব্দে প্রতিক্রিয়া নেই, কোনও কথা বলছে না—তখনই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাবা-মা।
শিলিগুড়ির এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান—জয়িতা হিয়ারিং লস-এ আক্রান্ত।
চিকিৎসার একমাত্র উপায়—কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি। খরচ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
একটি চায়ের দোকান চালিয়ে এই বিশাল খরচ বহন করা রাম কমলের পক্ষে সম্ভব নয়।
মা সোনালী কাঁদতে কাঁদতে বলেন—
“আমার মেয়েটা কিছুই শুনতে পায় না। ডাকলেও সাড়া দেয় না। আমি চাই, ও স্কুলে যাক, গল্প করুক, বন্ধু পাক। শুধু শুনতে পারলেই তো জীবনটা বদলে যাবে।“
চিকিৎসকরা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন—পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে অপারেশন না হলে আর কিছুই সম্ভব নয়।
আজ যদি আমরা সবাই মিলে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই, তাহলেই হয়তো একটি ছোট্ট মেয়ে শব্দের জগতে ফিরতে পারবে।
আপনিও হোন জয়িতার জীবনের আশার আলো।
📞 যোগাযোগ করুন জয়িতার বাবার সঙ্গে:
☎️ 95315 22557 (রাম কমল দাস)
🧾 চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং ব্যাঙ্ক ডিটেলস আপনি সরাসরি পরিবারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
একটা ছোট্ট প্রাণ শব্দের জগতে ফিরতে চায়… আপনি কি তাকে সেই পথ দেখাবেন না?
উত্তরের জ্যোতি চ্যানেলের পক্ষ থেকে এই মানবিক আবেদন।
চলুন, আমরা সবাই মিলে জয়িতার পাশে দাঁড়াই।
হয়তো আপনার এক টাকার সাহায্যই হতে পারে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার।