কোচবিহার/ভুবনেশ্বর: ফের পরিযায়ী শ্রমিক হেনস্তার ঘটনা ঘটল ওড়িশায়। বাংলার কোচবিহারের বাসিন্দা মিঠুন বর্মনকে (ছোট শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা) বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে থানায় টেনে নিয়ে যায় ওড়িশা পুলিশ। অভিযোগ, শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণেই তাঁকে সন্দেহ করা হয়।
ঘটনা ২৯ জুলাইয়ের। ওই দিন অফিসের আবাসন থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। মোবাইল ফোন, ভোটার ও আধার-সহ সমস্ত পরিচয়পত্র এবং ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। মিঠুন দাবি করেন, ‘‘আমি সব নথি দেখালেও পুলিশ তা ভুয়ো বলে জানিয়েছিল। আমাকে নির্যাতনও চালানো হয়।’’
তিনি আরও বলেন, বিপদে পড়ে স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি নেতাকে ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। এরপর তিনি ফোন করেন ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইন নম্বরে। সেখান থেকেই তৎপর হয়ে তাঁকে কোচবিহারে ফিরতে সাহায্য করা হয়।
কোচবিহারের এক তৃণমূল নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘বাংলা বলার অপরাধে মিঠুনকে বাংলাদেশি বলে দাগিয়েছে ওড়িশা পুলিশ। বিজেপির যাঁরা দাবি করেন বাইরে বাংলার শ্রমিকেরা নিরাপদ, তাঁরা মিঠুনের ঘটনার জবাব দিন। নিশীথ প্রামাণিক-সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে ফোন করলেও কেউ সাহায্য করেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই তিনি বাড়ি ফিরতে পেরেছেন।’’
ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিজেপি নেতাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।