
এশিয়া কাপ ২০২৫-এর স্কোয়াড ঘোষণার পরেও কাটছে না ধোঁয়াশা। বোর্ডের সদর দপ্তরে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও নির্বাচক অজিত আগরকার এদিন ১৫ সদস্যের মূল দল ও পাঁচজন স্ট্যান্ডবাই ঘোষণা করেন। তবে স্কোয়াড নির্বাচনের পরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড সিরিজে চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের পরেও দলে জায়গা পাননি মহম্মদ সিরাজ ও যশস্বী জয়সওয়াল। টি-২০তে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন কেএল রাহুল, কিন্তু তাঁকেও বিবেচনা করা হয়নি। ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছে বোর্ড।
সবচেয়ে বড় চমক শুভমান গিল। শেষবার ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ খেলেছিলেন তিনি। এক বছরেরও বেশি সময় পর তাঁকে সরাসরি এশিয়া কাপে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাও সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তাঁর ফেরার প্রয়োজন আদৌ ছিল কি? বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটি এবং তিন নম্বরে তিলক বর্মার সাফল্যের পরও গিলকে দলে নিলে টিম কম্বিনেশনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
তিনটি সিদ্ধান্তই বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু-
১. যশস্বী ও সিরাজকে বাদ দেওয়া।
২. কেএল রাহুলকে সুযোগ না দেওয়া।
৩. গিলকে সহ-অধিনায়ক করে প্রত্যাবর্তন করানো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন ঘন সিরিজের চাপে গিলকে বিশ্রাম দেওয়াই শ্রেয় ছিল। কিন্তু বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তে ক্রিকেট মহলে তৈরি হয়েছে বিস্ময় এবং ভক্তদের মধ্যে অসন্তোষ।