
শ্রদ্ধার সঙ্গে ভানু জয়ন্তী উদ্যাপন করলেন ব্রাইট একাডেমি, সম্মান জানায় আদি কবি ভানুভক্ত আচার্য-কে, যিনি প্রথমবার নেপালি ভাষায় রামায়ণ অনুবাদ করেছিলেন। নেপালি ভাষার “প্রথম কবি” হিসেবে পরিচিত আচার্যের উত্তরাধিকার জীবন্ত হয়ে উঠেছিল এক বর্ণময় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে।
এই অনুষ্ঠানে ছিল মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা—ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, সুরেলা গান, অনুপ্রেরণাদায়ক ভাষণ ও আবেগপূর্ণ কবিতা আবৃত্তি—সবই উপস্থাপন করেন ব্রাইট অ্যাকাডেমির ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ। এসব পরিবেশনার মাধ্যমে নেপালি সাহিত্য ও সংস্কৃতির বৈভব তুলে ধরা হয় এবং শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্যময় প্রতিভার প্রকাশ ঘটে।

শ্রী বীর বিক্রম রাই, WBCS (Exe.), প্রকল্প আধিকারিক ও জেলা কল্যাণ আধিকারিক, শিলিগুড়ি, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর ভাষণে ব্রাইট অ্যাকাডেমির সংস্কৃতি ও সাহিত্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরলস প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের উদ্যাপন কেবল আমাদের সাহিত্যিক পূর্বসূরিদের সম্মান জানায় না, বরং নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিচয়বোধ ও গর্ব জাগ্রত করে।”
এই অনুষ্ঠানটি নেপালি ঐতিহ্যের চিরন্তন প্রাসঙ্গিকতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে দাঁড়ায়। ছন্দবদ্ধ কবিতা ও গভীর অনুভূতিতে শিক্ষার্থীরা ভানুভক্ত আচার্যের অমর অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে এবং বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক শিক্ষায় ও সামাজিক সম্পৃক্ততায় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
এই বছরের ভানু জয়ন্তী উদ্যাপন ছিল কেবল একজন সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা জানানোই নয়, বরং উত্তরাধিকার, গর্ব ও ঐক্যের মূল্যবোধে নিবেদিত এক হৃদয়ছোঁয়া শ্রদ্ধার্ঘ্য।