
জলপাইগুড়ি, ১৯ জুলাই: শ্রাবণের শুরুতেও রাজগঞ্জের চাউলহাটি সীমান্তের খালপাড়া ও ভীমভিটা এলাকায় বৃষ্টির দেখা নেই। বর্ষা ঋতু পড়ে গেলেও তীব্র খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। ফলে বাধ্য হয়েই মেশিনের সাহায্যে সেচ দিয়ে জমি ভিজিয়ে শুরু হয়েছে আমন ধানের চারা রোপণ।
স্থানীয় কৃষকদের কথায়, আষাঢ় মাস পুরোপুরি শুকনো কেটেছে। শ্রাবণেরও প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নেই পর্যাপ্ত বৃষ্টি। এতে জমি চাষের উপযুক্ত হচ্ছে না, ফলে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
একজন কৃষক বলেন, “প্রতি বিঘায় প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ বেড়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র জল সেচ আর আগাছা পরিষ্কারের জন্য। যদি এখনই বৃষ্টি না নামে, তাহলে ফসল উঠবে কি না সেটা নিয়েই সন্দেহ।”
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ির কিছু এলাকায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হলেও রাজগঞ্জের সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলগুলো এখনও কার্যত বৃষ্টির অভাবে চাষের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
হাওয়া অফিস আগামী দু’দিনে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও কৃষকদের দুশ্চিন্তা কিছুতেই কমছে না। তাঁরা বলছেন, “বৃষ্টি না হলে জমিতে চারা বাঁচানোই দায় হবে।”