
কোচবিহার, ২৯ জুলাই ২০২৫: লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিজেপি জনতার রায় মেনে নিতে পারেনি—এমনটাই দাবি শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের। অভিযোগ, বদলার রাজনীতি করতে এখন এনআরসি নোটিশের মাধ্যমে ভয় দেখানো হচ্ছে কোচবিহারের সাধারণ মানুষদের।
২০২৪-২৫ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের অগ্রগতি বিজেপির দখলদারিতে বড় ধাক্কা দেয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই, কোচবিহারের বিভিন্ন ব্লকে অসম থেকে আসছে একের পর এক এনআরসি নোটিশ।
নোটিশপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন—
- উত্তম ব্রজবাসী (দিনহাটা),
- আরতি ঘোষ (তুফানগঞ্জ),
- নিশিকান্ত দাস (মাথাভাঙ্গা),
- মোমিনা বিবি (সংখ্যালঘু মহিলা, তুফানগঞ্জ),
- দীপঙ্কর সরকার (তুফানগঞ্জ মহকুমা)।
নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিরা বলেন—
“আমরা জন্মসূত্রে ভারতীয়। আমাদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ সমস্ত বৈধ পরিচয়পত্র রয়েছে। এনআরসি নোটিশ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক জানান—
“রাজবংশী, নমঃশূদ্র ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্কে ধাক্কা দিতে এই ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে বিজেপি ও অসম সরকার।”
তিনি প্রতিনিয়ত এনআরসি নোটিশপ্রাপ্ত নাগরিকদের দুয়ারে ছুটে যাচ্ছেন, আইনি সহায়তা ও রাজনৈতিক আশ্বাস দিচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ:
এই নোটিশগুলি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করার কৌশল কি না, তা নিয়েই জল্পনা।
বিজেপি এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন—
“তবে কি আগেভাগেই ময়দান ছাড়ছে বিজেপি?”
তৃণমূল নেতাদের মতে—
“কোচবিহার বরাবরই রাজবংশী ও সংখ্যালঘু ভোটের কেন্দ্র। সেখানে বিভ্রান্তি ছড়াতেই এই চাপ তৈরি।”