
ঝাড়গ্রাম, ১৮ জুলাই: ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল তিনটি বুনো হাতির। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা এলাকায়। মৃতদের মধ্যে রয়েছে একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি এবং দুটি শাবক।
জানা গেছে, রাত প্রায় ১টা নাগাদ, ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের হুলা পার্টি ও বনকর্মীরা দলছুট হাতিগুলিকে জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনটি হাতির।
আগে জানানো হয়েছিল রেলকে: বন আধিকারিক
এই ঘটনার পরই বন দফতরের বিরুদ্ধে উঠেছে যোগাযোগে গাফিলতির অভিযোগ। যদিও ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (DFO) উমর ইমাম দাবি করেন,
“রাত ১১টার সময় রেলকে হাতিদের অবস্থান জানানো হয়েছিল। ট্রেন যেন গতি কমিয়ে চলে, তাও বলা হয়েছিল। তারপরও ট্রেনটি খুব দ্রুত যাচ্ছিল।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং কোন কোন ট্রেন ওই লাইনে গিয়েছে, তাও রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে।
মৃতদেহ উদ্ধারে ব্যস্ত বনকর্মীরা
দুর্ঘটনার পর হাতিগুলোর মৃতদেহ পড়ে থাকায় রেল চলাচল দীর্ঘ সময় ব্যাহত হয়। পরে বন দফতর ও রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতিগুলোর দেহ সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
স্থানীয়দের ক্ষোভ বন দফতর ও হুলা পার্টি নিয়েস্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,
“হুলা পার্টির সদস্যরা ঠিকমতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। বারবার এই একই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটছে। বন দফতরের ভূমিকা খুবই দুর্বল।”
তাঁরা আরও দাবি করেন, ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির চলাচল নতুন নয়, বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময়েই এই অঞ্চল দিয়ে বুনো হাতির যাতায়াত থাকে।
একই দিনে জলঢাকায় আরও এক হাতির মৃত্যু
এদিকে, একই দিনে জলপাইগুড়ির ডুয়ার্স অঞ্চলের জলঢাকা নদীর চরে আরও একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বজ্রপাতেই মৃত্যু হয়েছে হাতিটির। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না বলে বন দফতর জানিয়েছে।